সর্বশেষ সংবাদ
১৭ জনকে নিয়ে দল ছাড়লেন বিজেপির দাপুটে নেতা: বিরোধ আটকাতে পারবে কি বিজেপি নেতৃত্ব?

১৭ জনকে নিয়ে দল ছাড়লেন বিজেপির দাপুটে নেতা: বিরোধ আটকাতে পারবে কি বিজেপি নেতৃত্ব?

রাজনৈতিক মহলে  বড় ধরনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল অসমে। এক হেভিওয়েট নেতা, যিনি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন, তিনি হঠাৎ করেই দলের সব দায়িত্ব ত্যাগ করলেন। কিন্তু কেন?

রাজেন গোহেন বিপুল অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, চারবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী, এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, তিনিই আজ দল ছেড়েছেন। শুধু তিনি নয়, তাঁর সঙ্গে ১৭ জন সহকর্মীও দলত্যাগ করেছেন।

জানা গেছে, তিন দশক ধরে গেরুয়া শিবিরের প্রধান শক্তি ছিলেন রাজেন গোহেন। ২০১৬ সালে তিনি মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য হন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, তাঁর নিজস্ব সিট নগাঁও থেকে টিকিট পাননি। ২০২৪ সালে ভোটেও আর লড়েননি। এরপর ধীরে ধীরে দলের সঙ্গে দূরত্ব স্পষ্ট হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত, তিনি বিজেপির সদস্যপদ এবং দলের সব দায়িত্ব ত্যাগ করলেন।

 

আরও পড়ুন আসিফের কড়া বার্তা: 'সন্ত্রাসীদের পরিণতি ভোগ করতে হবে', হুঁশিয়ারির পরপরই কাবুলে বিস্ফোরণ

 

রাজেন গোহেন বহুদিন ধরেই হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে পার্থক্য অনুভব করছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে গুয়াহাটিতে দলের সদর দফতরে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। সঙ্গে তাঁর ১৭ জন সমর্থকের পদত্যাগপত্রও পৌঁছে গেছে। 

পিটিআই সূত্রে খবর,পদত্যাগের পর তিনি বলেন, "আমরা যোগ দিয়েছি সেই দলের সঙ্গে যারা অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর যোশীর মতো প্রবীণ নেতাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি এমন যে, যারা জীবনের সেরা সময় বিজেপির জন্য উৎসর্গ করেছেন, তাদের সরিয়ে রাখা হয়েছে।"

রাজেন গোহেন আরও অভিযোগ করেন, দল অসমের জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বহিরাগতদের রাজ্যে বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২৪ সালের ১৬ মে’র পর আর অসমে একজনও বাংলাদেশি থাকবে না। কিন্তু নতুন কৌশলে ক্রমাগত বাংলাদেশিদের রাজ্যে আনা হচ্ছে। রাজেন গোহেনের মতে, বর্তমান নেতৃত্ব আদিবাসী অহমিয়া জনগণের জমি ও সম্পদের বিনিময়ে বহিরাগতদের বসতি স্থাপন করছে।এই কারণে তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে এবং তিনি দল ছেড়েছেন।

রাজ্যের রাজনীতিতে এই পদত্যাগ নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এ যেন বিজেপির মধ্যে আদি ও নব্য নেতাদের টানাপোড়েনের প্রতিফলন। এখন দেখার বিষয়,এই পদত্যাগের পর অসমের রাজনীতিতে কেমন পরিবর্তন আসে।

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 -জ্যোতি সরকার

পরবর্তী খবর